নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম ও বর্তমান সভ্যতা
মনসুর আহমদ : মানবসমাজে নারীর মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের কথা ওঠে। আসলে নানা ধরনের কথা ওঠার কথা ছিল না। কারণ মানব সৃষ্টির গোড়ায়ই এ ব্যাপারে ফয়সালা হয়েছে। কোনো মানবসভ্যতা এ ফসালার দায়িত্ব গ্রহণ করেনি, প্রকৃতি এ ফয়সালার ভার গ্রহণ করে মানব সভ্যতাকে সুবিস্তৃত, সুখী ও নিরাপদ করেছে।
মহান রাব্বুল আলামিন সৃষ্ট বস্তুকে বিভিন্ন শ্রেণি, লিঙ্গ ও গোত্রে বিভক্ত করে প্রত্যেক শ্রেণি ও গোত্রের জন্য বিশেষ বিশেষ কর্তব্য ও দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। কর্তব্য ও দায়িত্ব অনুসারে তার উপযোগী করে তাদের শারীরিক ও মানসিক শক্তি এবং যোগ্যতা প্রদান করা হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘আমি প্রত্যেকটি বস্তুকে এক বিশেষ পরিমাপে সৃষ্টি করেছি।’
নর ও নারী নিয়ে মানবসমাজ গঠিত। ধর্ম ও কালচার নর ও নারীর স্বভাবগত কর্তব্য ও দায়িত্ব নিরূপণ করে সেই কর্তব্য ও দায়িত্বের কেন্দ্রভূমিতে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। বিশ্বস্রষ্টা পৃথিবীতে যে উদ্দেশ্যে নারী জাতি সৃষ্টি করেছেন, তা হলোÑ মানবজাতির বংশ বৃদ্ধি, তার রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রতিপালন। বিশ্বস্রষ্টার এ উদ্দেশ্যের পরিপ্রেক্ষিতে নারী জাতির স্বভাবগত কর্তব্য হলো এ মহান দায়িত্বটি পালনের জন্য সর্বদা চেষ্টারত থাকা। এ দায়িত্ব পালনের জন্য যে- সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ও দেহ- সৌষ্টবের প্রয়োজন, বিশ্বস্রষ্টা তাকে তা দান করেছেন। নারীর স্বভাবগত কাজকর্মে অংশগ্রহণ করা যেমন পুরুষের শক্তির বাইরে, ঠিক তদ্রƒপ পুরুষেরও সামাজিক কাজকর্মে সমান ....বিস্তারিত
আল কুরআন : ঘুমন্ত জাতির জন্য জিয়নকাঠি
এডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী
রমযান মাস- যাতে কুরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। [আল বাকারা : ১৮৫]।
আমরা যেটা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখি, সেটা আসল স্বপ্ন নয়,
সত্যিকার অর্থে স্বপ্ন সেটাই, যেটা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।
তেমনি আল কুরআন এমন এক জীয়নকাঠি, যেটা কোনো জাতিকে ঘুমাতে দেয় না ঘুমন্ত থাকলে তাকে জাগিয়ে তোলে। কর্মমুখী ও কর্মতৎপর করে তোলে। কুরআন তো এসেছে অনুধাবনের জন্য শুধু পড়ার জন্য নয়। নিজকে পরিবর্তন ও সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লবী স্লোগান নিয়ে কর্তব্য-কর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য। যুগে যুগে অনেক মনীষী কুরআন পড়ে এর বিপ্লবী বাণী শুনে মুগ্ধ হয়েছেন। কুরআন পড়ে এর মর্মার্থ অনুধাবন করে ভারতের সাবেক নবম রাষ্ট্রপতি পণ্ডিত ও কবি শঙ্কর দয়াল শর্মা (তিনি ২৫ জুলাই ১৯৯২ থেকে ২৫ জুলাই ১৯৯৭ পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন) হিন্দি ভাষায় এ কবিতাটি লেখেন।
হিন্দি ভাষায়Ñ
- কুরআন শরীফ
- আমল কি কিতাব থি,
- দুয়া কি কিতাব বানা দিয়া।
- সমঝ্নে কি কিতাব থি,
- পড়নে কা কিতাব বানা দিয়া।
- জিন্দাওঁ কা দস্তুর থা,
- মুর্দাওঁ কা মনশুর বানা দিয়া।
- জো ইলম্ কি কিতাব থি
- উসে লা-ইলমোঁ কে হাথ থামা দিয়া।
- তশখীর-এ-কয়েনাৎ কা দর্স দেনে আয়ি থি,
- সির্ফ মদ্রাসোঁ কা নিসাব বানা দিয়া।
- মুর্দা ....বিস্তারিত